আদৌ কি সত্যি নারী-পুরুষের সম্পর্ককে বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা স্বীকৃতি পেতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে দিলেন ২১ দম্পতি। যাঁরা তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে লিভ-ইন রিলেশনে আছেন।
কথাতেই আছে ভালবাসায় যুদ্ধ জেতা যায়। ঝাড়খণ্ডের মুন্ডা সম্প্রদায়ের ২১ দম্পতিও সেটা করিয়েই দেখিয়েছেন। ভালবাসা ছিল, কিন্তু, অর্থের জোর ছিল না। কিন্তু, থেমে থাকেননি এঁরা। নিজেরাই পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। একটা-দু’টো মাস বা বছর নয় তাঁদের এই ‘লিভ-ইন’ সম্পর্কের বর্তমান বয়স ৩০ বছর পেরিয়েছে।
রাঁচির কাছে খুন্তি জেলার মুন্ডা সম্প্রদায় আর্থিকভাবে খুবই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় বসবাস করেন। বিয়ে করা মানে বিশাল খরচা। এমনকী, গ্রামসুদ্ধ লোককে ডেকে খাওয়ানোর সামর্থ্য নেই। তা বলে একে অপরকে ছেড়ে কীভাবে থাকা যায়? তাই সমাজের নিন্দা ভয়কে জয় করে একসঙ্গে বিয়ে ছাড়াই ঘর বাধার শপথ। যা আজও অটুট।
মুন্ডা এই দম্পতিদের বিয়ে না করার পিছনের কারণ জানতে পেরে তাঁদের বিয়ে দিতে উদ্যোগী হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাঁদের হাত ধরে এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয় ঝাড়খণ্ড সরকার। বর্তমানে সরকার এবং ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরাধরিতে এই ২১ দম্পতি অবশেষে উঠতে চলেছেন বিয়ের পিড়িতে। খুন্তি জেলার সদর শহরের টাউন হলে এই বিয়ের আসর বসবে।