ছোট থেকেই দুধের উপকারিতা সম্পর্কে অনেক কথা পড়লেও, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অজান্তেই তাকে তালিকার বাইরে পাঠিয়ে দিই৷ কিন্তু জানেন কি দুধ আমাদের কত উপকার করে৷ দুধ যে আদর্শ খাবার তাতে সন্দেহ নেই। অনেক উপকার আছে। দুধে প্রচুর পুষ্টি-উপাদান থাকে। ক্যালসিয়াম ছাড়া দুধের মধ্যে ফসফরাস, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
হাড়ের সুরক্ষায়: ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, হাড়কে মজবুত আর শক্তিশালী করতে যা যা প্রয়োজনীয়, দুধ আমাদের সেই সব চাহিদাই মেটায়৷ দুধ বা দুধ জাতীয় খাদ্যদ্রব্য শিশুদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়৷ পরবর্তী সময়ে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
সুন্দর দাঁতের জন্য: দুধে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের উপস্থিতি, আমাদের দাঁতের সুরক্ষায় সাহায্য করে৷ দাঁতক্ষয় রোধই শুধু নয়, ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতকে আরও ক্ষয় হওয়া থেকে বাঁচাতে দুধের অবদান অনস্বীকার্য৷ তাই চিকিৎসকেরাও দুধ খাওয়ার কথা বলে থাকেন।
রক্তচাপ: প্রতিদিন ফল-সব্জির সঙ্গে পরিমাণ মতো দুধ খেলে তা রক্তচাপের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে৷ বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে যাদের, তাদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
হৃদরোগ: হাইপারটেনশন এবং ডায়বেটিস-এর আক্রমনের ভয় অনেকটাই কেটে যায় দুধ বা দুধ জাতীয় খাদ্য খেলে।
স্থূলতা: মেদ নিয়ে অনেকের কপালেই ভাঁজ৷ কিভাবে মেদ কমবে, তা নিয়ে বইপত্র, ডায়েটিশিয়ান, ইন্টারনেট সব যখন অ্যাপ্লাই করে ফেলেছেন, তখন একবার ট্রাই করতে পারেন দুধ৷ প্রতিদিন যদি দুধ খাওয়ার অভ্যেস করে ফেলেন, তার ফল কিন্তু পাবেন হাতে নাতে।
সতর্কতা: পাঁচ ধরনের মানুষের দুধ পান করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমেই বলব অ্যানিমিয়ার রোগীদের কথা। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তারা দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান। যাদের খাদ্যনালীতে ক্ষতরোগ আছে তারা দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হবেন। যাদের পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তাদের জন্য দুধপান নিষিদ্ধ। যাদের পরিপাকতন্ত্রে আলসার আছে, তাদের জন্যও দুধ খাওয়া নিষিদ্ধ। যাদের শরীরে ল্যাকটোবায়োনিক এসিড বা সুগার এসিডের অভাব আছে, তাদেরকে দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন চিকিৎকরা।