অফিস মিটিং, খুব মনোযোগ দিয়ে আপনি বসের কথা শোনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গত রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় বারবার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। জোর করে জেগে থাকার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি কি ঠিক?
এটি যদি আপনি করেন তাহলে আমাদের মস্তিষ্কে কি ধরনের প্রভাব পড়ে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন সিঙ্গাপুরের গবেষক জু লিন অং এবং তার দল।
গবেষণায় তারা ১৮টি স্বাস্থ্যকর বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রথমে তারা গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের সারা রাত ল্যাবে জাগিয়ে রাখেন। ২২ ঘণ্টা পরে অং ও তার দল অংশগ্রহণকারীদের ডার্ক ব্রেইন স্ক্যানারে প্রায় ৬ মিনিট স্ক্যান করেন।
এটা খুবই কঠিন কাজ, কেননা পুরোটা সময় তাদের চোখ খুলে রাখতে হয়েছে। এদের মধ্যে দু’টি দল করা হয়। এক দলকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তাদের চোখ খোলা রাখতে হবে। যখন তারা চোখ বন্ধ করেছে, তখন গবেষকরা আরেক দলের সঙ্গে তুলনা করেন যাদের চোখ বন্ধ করে রাখতে বলা হয়েছিলো।
এতে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীরা চোখ বন্ধ করলেই তারা ‘মাইক্রো-স্লিপ’-এ চলে যায়। কারণ থ্যালামাসের কর্মকাণ্ড কমে আসে। থ্যালামাসের কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একটি মস্তিষ্কের পথ যা ইন্দ্রিয় থেকে তথ্য গ্রহণ করে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে। ফলে অংশগ্রহণকারীরা যখন চোখ বন্ধ করে, মূলত তারা বাইরের সংস্পর্শ থেকে দূরে চলে যায়।
চোখ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে আবেগ, সচলতা, স্মৃতি এবং আত্মসচেতনতায় বিঘ্ন দেখা দেয়। পাশাপাশি মস্তিষ্কের সিঙ্গুলেট কোর্টেক্সও কাজ করা বন্ধ করে দেয়, যা আমাদের ভুলগুলো ধরতে সহায়তা করে।
দুঃখজনক বিষয় হলো গবেষকরা এ অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে কোনো কিছু বলেননি।
প্রিয় পাঠক, মনোরোগ নিয়ে যে কোনো মতামত ও আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন আমাদের।
আমরা পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আপনাদের প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দেবো। আপনি চাইলে গোপন রাখা হবে আপনার নাম-পরিচয় এমনি কি ঠিকানাও।
সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।
এছাড়া মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত বা এ বিষয়ে বিশেষ যে কোনো লেখা যে কেউ পাঠিয়ে দিতে পারেন আমাদের।