একমাসের বেটা টেস্টিং শেষে ভার্সন ২.১২.২৫০ আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য রিলিজ দেওয়া এই সংস্করণে বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা মেসেঞ্জারটি কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে দেবে। এর পাশাপাশি মেসেঞ্জারে একজন ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণও আরও বাড়বে।
এক নজরে হোয়াটঅ্যাঅ্যাপে যুক্ত হওয়া নতুন পাঁচটি আপডেট দেখে নেওয়া যাক:
১. মেসেজ আনরিড করে রাখা: ফেসবুকে কারও মেসেজ পড়ার পর সেটি চাইলেই আনরিড করে রাখা যায়। এই ফিচারটি এবার যুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় এই মেসেঞ্জারেও। তবে এখানে একটি ব্যাপার বলে রাখা ভালো। আর তা হলো, মেসেজ আনরিড করে রাখলেও প্রেরক কিন্তু ঠিকই দেখতে পারবে যে মেসেজটি পড়া হয়েছে। ফিচারটি শুধুমাত্র পরবর্তীতে আবারও মেসেজটি পড়ার জন্যই যুক্ত করা হয়েছে।
২. কাস্টম নোটিফিকেশন: বেশ কিছু কাস্টম নোটিফিকেশন সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে এই সংস্করণে। এর মধ্যে আছে ভিন্ন ভিন্ন কন্টাক্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রিংটোন যুক্ত করার ব্যবস্থাও। ফলে রিংটোন শুনেই বলে দেওয়া যাবে কে মেসেজ পাঠিয়েছে বা কল করেছে।
এর পাশাপাশি নোটিফিকেশন লাইট কালার, ভাইব্রেশন চালু কিংবা বন্ধ রাখা এবং পপ-আপ নোটিফিকেশন চালু বা বন্ধ করার ফিচারও রয়েছে।
৩. চ্যাট মিউট করে রাখা: এতদিন পর্যন্ত কেবল গ্রুপ চ্যাট মিউট করে রাখার ব্যবস্থা ছিল হোয়াটসঅ্যাপে। তবে এবার এর সাথে যুক্ত হয়েছে একটি কন্টাক্ট নম্বর মিউট করে রাখার ফিচারও। কাঙ্ক্ষিত কন্টাক্টে স্লাইড করে মিউট করা রাখা সময়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিলেই সেই সময় পর্যন্ত ওই কন্টাক্টের জন্য চ্যাট মিউটেড অবস্থায় থাকবে।
৪. হোয়াটসঅ্যাপ কলে ডেটা খরচ কমানো: আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কম ডেটা খরচে অনেক কল করতে চান, তাহলে খুব সহজেই এখন কাজটি করতে পারবেন। সেটিংস থেকে ‘চ্যাটস অ্যান্ড কল’ মেন্যুতে এখন পাওয়া যাবে ‘লো ডেটা ইউসেজ’ নামের একটি অপশন। এখানে থাকা বক্সটি কেবল সিলেক্ট করে দিলেই হলো।
৫. নতুন নতুন ইমোজি: নতুন আপডেটে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু ইমোজি সেট। এর পাশাপাশি কিছু কিছু ইমোজি ভিন্ন স্কিন টোনেও পাওয়া যাবে এই সংস্করণে।